
করোনা রোগীর কখন অক্সিজেন সেবার প্রয়োজন
বর্তমান বিশ্ব করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত। বাংলাদেশ ও এর ব্যতিক্রম না। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগী এবং মৃতের সংখ্যা। বর্তমান সময়ে হঠাৎ করে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় অক্সিজেন সংক্টের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
করোনা ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়-
করোনা একটি ভাইরাস বাহিত রোগ যা করোনা নামক এক অদৃশ্য ভাইরাসের মাধ্যমে মানব শরীরে ছড়িয়ে থাকে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীন এর হুবেই প্রদেশের উহান শহরে এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এ ভাইরাস একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে ছড়াতে পারে এবং ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ।
করোনা ভাইরাসের লক্ষণ সমূহ-
এ রোগের সংক্রমণের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বাসযন্ত্রের রোগের লক্ষণের ন্যায় শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা, জ্বর, ঠান্ডা কাশি এবং সহজে হাঁপিয়ে যাওয়া। এ ছাড়াও মুখের স্বাদ- গন্ধ চলে যাওয়া, ক্লান্তি, ক্ষুধামান্দ্য, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, মানসিক বিভ্রান্তি, গলাব্যথা, পেশিব্যথা, ত্বকে র্যাশ, হাত ও পায়ের আঙুলের রং বিবর্ণ হয়ে যাওয়া। উল্লেখিত লক্ষণ গুলোর মধ্যে জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ। সাধারণত শুষ্ক কাশি ও জ্বরের মাধ্যমেই শুরু হয় উপসর্গ, পরে ক্রমশ শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। রোগের সংক্রমণের মাত্রা বেশি হলে নিউমোনিয়া, সিভিয়ার একিউট রেসিপিটরি সিন্ড্রোম, কিডনীর কাজ করা বন্ধ হয়ে যাওয়া এমনকি মৃত্যু ঘটাতে পারে।
করোনা প্রতিরোধের উপায়-
করোনা সংক্রমণ এড়াতে
- নিয়মিত সাবান/এলকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা।
- হাঁচি বা কাশির সময় নাক ও মুখ ঢেকে ফেলা, বাজার থেকে আনা সবজি ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া।
- ডিম, মাছ ও মাংস অধিক সময় ধরে সিদ্ধ করে রান্না করা।
- শ্বাসযন্ত্রের রোগের লক্ষণ যেমন হাঁচি,কাশি আছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শে না যাওয়া।
কখন লাগবে অক্সিজেন সেবা?
করোনার জীবাণু শরীরে প্রবেশের গড়ে পাঁচদিন পর জ্বর শুরু হয়। আক্রান্ত হওয়া ও লক্ষণ প্রকাশের ক্ষেত্রে সময় লাগে প্রায় ১৪ দিন। লক্ষণ শুরু হওয়ার প্রথম তিন দিনে ভাইরাস গলার পিছন দিকে আক্রমণ করে। ফলে গলা ব্যথা ও শুকনো কাশি শুরু হয়। পরে তা শ্বাসনালীর নিচের দিকে চলে যায়। লক্ষণ দেখা দেওয়ার চার থেকে ৯ দিনে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ভাইরাসটি বংশ বিস্তার করতে করতে ফুসফুসে পৌঁছায়। এতে ফুসফুসের থলিতে ছিদ্র হয়ে তা তরল দ্বারা পূর্ণ হয় এবং নিউমোনিয়ার সৃষ্টি হয়। ফুসফুসের প্রদাহের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। লক্ষণ শুরুর আট থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়। আর এ সময়ের মধ্যে সাধারণত অক্সিজেন এর প্রয়োজন দেখা দেয়।
কিভাবে মিলবে অক্সিজেন সেবা?
আপনি যদি ভেড়ামারা এবং দৌলতপুর উপজেলার বাসিন্দা হয়ে থাকেন, তাহলে শুধুমাত্র একটা ফোন কল করলেই ভেড়ামারা ও দৌলতপুর উপজেলার ভেতর অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আপনার দোরগোড়ায় পৌছে যাবে সংগঠনদ্বয়ের সেচ্ছাসেবক’রা। যোগাযোগ করুনঃ ০১৮১৮৩১৮৭৬৪ ও ০১৭১৯৩৬১০৯৯।